রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত দুটি দেশের রাষ্ট্রদূত।
Published : 29 Jun 2022, 08:15 PM
বুধবার বিকালে অস্ট্রিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ক্যাথরিনা উইজার এবং লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব সুলাইমান মোহাম্মদ সুলাইমান বঙ্গভবনে যান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, প্রথমে পরিচয়পত্র পেশ করেন অস্ট্রিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত।
প্রেস সচিব জানান, নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ বছর দুই দেশ কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
দুই দেশের চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে, আগামীতে এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা করেন। এ লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ও সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্ব দেন আদুল হামিদ।
বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার বাণিজ্য সহযোগিতা ও সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা এবং মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে টিকা দিয়ে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান আবদুল হামিদ।
পরে লিবিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব সুলাইমান মোহাম্মদ সুলাইমান রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
এসময় বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে বিদ্যমান বহুমাত্রিক ও চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এ সম্পর্ককে ব্যবসা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্ব দেন রাষ্ট্রপতি।
লিবিয়ার সংকটের সময়েও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, “লিবিয়া বাংলাদেশ থেকে কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে তাদের জনশক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে।”
এসময় তিনি লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন দূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দায়িত্ব পালনকালে নতুন রাষ্ট্রদূতরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আন্তরিক প্রয়াস চালাবেন।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন। তারা দায়িত্বপালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে বিকালে নতুন দূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।