এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য সব যাত্রীবাহী লঞ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Published : 04 Jan 2022, 10:33 PM
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মঙ্গলবার এই কমিটি গঠন করে দিয়েছে।
সংস্থাটির পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীদের নেতৃত্বে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, “কমিটিগুলোকে লঞ্চ পরিদর্শন করে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করা ও এসব ত্রুটি নিরসনে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।”
পর্যায়ক্রমে কমিটিগুলো প্রতি সপ্তাহে দুই দিন ঢাকার সদরঘাট সরেজমিন পরিদর্শন করবে। পরিদর্শনের সময়ে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটও কমিটির সঙ্গে থাকবে।
কমিটি কী দেখবে- জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক বলেন, “সকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের সাধারণ ও কারিগরি দিক পর্যবেক্ষণ করবে এসব কমিটি।
“যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ত্রুটি পেলে ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করবে।”
এছাড়া অনিয়ম ও গাফিলতি পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দায়ীদের সাজা দেবে বলে জানান তিনি।
পাঁচ কমিটির প্রধানরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, পরিচালক মো. শাহজাহান, প্রধান প্রকৌশলী মো. মহিদুল ইসলাম, পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং প্রকৌশলী মো. আতাহার আলী সরদার।
দেশে বিভিন্ন সময় নৌ দুর্ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি বিরল এক ঘটনায় নদীর বুকে লঞ্চে আগুন লেগে প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনায় যাওয়ার পথে ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
এঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি লঞ্চ মালিক, মাস্টার ও ইঞ্জিন চালকের দায় ও গাফিলতি পেয়েছে।