রিজেন্ট কেলেঙ্কারিতে আলোচিত মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
Published : 29 Dec 2021, 05:35 PM
সেখানে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগ আনা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।
বুধবার কমিশন সভায় এই অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয় জানিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন ওই প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কোভিড- ১৯ রোগীদের চিকিৎসায় গত বছরের ২১ মার্চ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি হয়। তিন মাস না যেতেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে রিজেন্টের বিরুদ্ধে।
এরপর গত বছর ৭ ও ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয় র্যাব। ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ তখন সামনে আসতে থাকে।
তদন্ত চলার মধ্যেই ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিস পাঠায় দুদক; ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়।
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও তা জমা না দেওয়ায় গত বছরের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।
সম্প্রতি কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী মামলাটির তদন্ত করে দুদকে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বলেন, “নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে এবং আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এক কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে দখলে রেখেছেন সাহেদ, যা তদন্তে উঠে এসেছে।”
এর আগে গত বছর ২৩ সেপ্টম্বর করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য লাইসেন্সের মেয়াদ পেরুনো রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় ইতোমধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদকেও আসামি করা হয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন