বুড়িচং ও মুরাদনগরে বর্তমান দুই চেয়ারম্যানের উপরই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। আর ব্রাহ্মণপাড়া এবং দেবিদ্বারে নির্বাচিত হয়েছে দুই নতুন মুখ।
Published : 30 May 2024, 12:37 AM
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কুমিল্লার চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে তিন উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যদের স্বজনরা।
বুধবার দিনভর ভোটগ্রহণ হয়েছে জেলার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর- এ চার উপজেলায়।
রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের দেওয়া বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে দেখা যায় চেয়ারম্যান পদে বুড়িচং ও মুরাদনগরে বর্তমান দুই চেয়ারম্যানের উপরই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। আর ব্রাহ্মণপাড়া এবং দেবিদ্বারে নির্বাচিত হয়েছে দুই নতুন মুখ।
মুরাদনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ওই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর। তিনি কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাংসদ জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর ৮৬ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার চিনু ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৪০২ ভোট।
দেবিদ্বার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হওয়া মামুনুর রশীদ মামুন কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।
কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য মামুন প্রথমবারের মতো আনারস প্রতীক নিয়ে ৯২ হাজার ৫২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে শাহিদা আক্তার পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮০ ভোট। তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলীর স্ত্রী।
এদিকে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহেরের ভাতিজা আবু তৈয়ব অপি।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অপি প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েই জয় পেলেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৫ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীক নিয়ে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭০ ভোট। ব্যারিস্টার সোহরাব সেক্টর কমান্ডার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক।
অন্যদিকে, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাঁছির খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩টি ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। চার উপজেলায় গড়ে ৩০ শতাংশের অধিক ভোট পড়েছে।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে নানা শঙ্কা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের তৎপরতার কারণে কোনো কেন্দ্রেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানান এই নির্বাচনী কর্মকর্তা।