দুদকের মামলায় সাহেদসহ স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজির নামে অভিযোগপত্র

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ এবং রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2021, 12:22 PM
Updated : 30 Sept 2021, 12:22 PM

লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’ এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকে উপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী অভিযোগপত্রটি জমা দেন।

বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্রটি দেখেছেন বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন দুদকের আদালত কর্মকর্তা মো. জুলফিকার।

অভিযোগপত্রে বাকি ৪ আসামি হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।

প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গতবছর জুলাই মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয় রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা।

আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক সই এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয় “যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।

“এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরেছেন।”

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রিজেন্টের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির সই হয়েছিল গতবছর ২১ মার্চ, সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন

গত বছর ২৩ সেপ্টম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

পরে মামলার বাদী ফরিদ আহমেদকেই তদন্তের দায়িত্ব দেয় দুদক। দীর্ঘ এক বছর পর এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রতিবেদন দিলে গত ২০ সেপ্টেম্বর তা অনুমোদন দেয় কমিশন।

মামলায় আবুল কালাম আজাদের নাম না থাকলেও তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তাকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন