করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 13 Aug 2020, 12:21 PM
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ডা. আজাদ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হলে পরে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বে একটি দল আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানান প্রনব।
এর আগে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বুধবার ডা. আবুল কালাম আজাদকে সাড়ে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, “এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার কঠোর শাস্তি হোক এটা আমি চাই, এ বিষয়ে তদন্তে আমি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদান করব।”
কিন্তু করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের খবর পেয়ে র্যাব গত ৭ ও ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেয়।
তখন জানা যায়, হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ ছিল না জেনেও রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করার পর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হওয়া চুক্তির নথিপত্র ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছে দুদক।
মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়েও অনুসন্ধান করছে দুদক।
পুরনো খবর