সাহেদ সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে ৯ প্রতিষ্ঠানকে দুদকের চিঠি

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান পলাতক মোহাম্মদ সাহেদের ‘অবৈধ’ সম্পদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনসহ নয়টি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2020, 11:09 AM
Updated : 14 July 2020, 11:09 AM

মঙ্গলবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের স্বাক্ষরে এসব চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য  জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মোহাম্মদ সাহেদ কোটি কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন’ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ প্রধান, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক, দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের বিমানবন্দর শাখা ব্যবস্থাপক, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং এনবিআরের কর অঞ্চল-৯ এর উপ-কর কমিশনারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখার নিবন্ধন ইস্যূ ও নবায়নের সত্যায়িত কপি, কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে হাসপাতাল দুটির সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তি সংক্রান্ত নথিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নথিপত্রের সত্যায়িত কপি পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার মো. সাহেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে দুদক। উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে টিমের অপর দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ্য হয়েছে র‌্যাবের অভিযানের মধ্য দিয়ে।

গত সপ্তাহে ওই অভিযানের পর রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে র‌্যাব। ওই হাসপাতালের অনুমোদনও বাতিল করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এ ঘটনায় র‌্যাবের করা মামলায় হাসপাতালের নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হলেও মালিক মোহাম্মদ সাহেদসহ এখনও পলাতক বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য।