টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন প্লাটফর্মে নাটক, চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ মুক্তি, সম্প্রচারে একটি জাতীয় সম্প্রচার কমিশন বা সেন্সর বোর্ড বা একটি নিয়ন্ত্রক কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 28 Nov 2021, 11:40 PM
একটি নিয়ন্ত্রক কমিশন গঠনে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করে।
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব,বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, নাটক ‘ঘটনা সত্য’র প্রযোজক ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত কোরবানির ঈদের সময় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চানেলে ‘ঘটনা সত্য’ নামে একটি নাটক সম্প্রচার করা হয়; যে নাটকে শিশুর প্রতিবন্ধিতা নিয়ে অবৈজ্ঞানিক সংলাপ ছিল।
নাটকটি সম্প্রচারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকরা নাটকটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। নাটকের প্রযোজক পরিচালককে এর জন্য ক্ষমা চাইতেও দাবি তোলা হয়।
এরকম প্রেক্ষাপটে গত ৪ নভেম্বর পিএফডিএ ভকেশনাল ট্রেইনিং সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান রিট আবেদনটি করেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুসরাত জাহান, মোশাররফ হোসেন মনির ও মো.তারিকুল ইসলাম (তারেক)। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ এর ষষ্ঠ অধ্যায় অনুযায়ী একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করার কথা। কিন্তু এ কমিশনটি এখনও সরকার গঠন করেনি।
‘ঘটনা সত্য’ নামের প্রচারিত নাটকের সংলাপের উদাহরণ টেনে এ আইনজীবী বলেন, “এ নাটকের সংলাপ প্রতিবন্ধী শিশুর অভিভাবকদের মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। নাটকের সংলাপ ছিল খুবই আপত্তিকর। এ নিয়ে ফৌজদারি মামলাও হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে এ ধরনের স্পর্শকাতর, অরুচিকর, মানহানি-অবমাননাকর সংলাপ প্রায় নাটক-সিরিজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখেশুনে মনে হচ্ছে এসব নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। যে যার মত যা ইচ্ছা করে যাচ্ছে। তাই জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত রুল দিয়েছেন।”