জিয়ার আমলে ‘নির্বিচারে হত্যার’ তদন্ত হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরকে ‘নির্বিচারে হত্যার’ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2021, 02:57 PM
Updated : 4 Oct 2021, 05:48 PM

সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে নিজের মনোভাব তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।

একজন ভুক্তভোগীর কথা তুলে ধরে একজন সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখেছিলেন, সেসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো কমিশন গঠনের উদ্যোগ সরকার নেবে কি না।

উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “৭৭ সালে তখন ক্যুর নামে, বিশেষ করে বিমানবাহিনীর ৫৬২ জন অফিসারসহ বহু লোক সে সময় মারা গেছে, হত্যা করা হয়েছে। এর মাঝে আরও কয়েকটি ক্যু হয়, সেটা নিয়ে প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি বিমান ও সামরিক বাহিনীর অফিসারকে মারা হয়।

“তো আমরা দেখি, বিষয়টা নিয়ে যেহেতু দাবি উঠছে, আমাদের নিশ্চয় এটা নিয়ে একটা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এজন্য ভালো জনমতও সৃষ্টি হওয়া উচিত।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল সেনা সদস্য। এরপর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসা জিয়া সেনাপ্রধান হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা দখল করেন। তার পরের বছর তিনি রাষ্ট্রপতির পদও নেন।

জিয়া ক্ষমতা দখলের পর সামরিক বাহিনীতে অনেকগুলো বিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়, যাতে জড়িতদের সামরিক আদালতে বিচার করে মৃত্যুদণ্ডসহ নানা সাজা দেওয়া হয়।

১৯৭৬ সালে এই রকম এক বিচারে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কর্নেল আবু তাহেরের বিচার অবৈধ বলে রায় এসেছে উচ্চ আদালত থেকে।

জিয়ার আমলের ওইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিংবা তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে স্বজনহারাদের পরিবার।

ছবি: পিএমও

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিশন নিয়ে প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, “সেই সময়ে, পঁচাত্তরের পর এই বাংলাদেশে বারবার ক্যু হয়েছে। এবং এই ক্যুর নামে শুধু এয়ারফোর্সের অফিসার বা সৈনিক-কর্মচারীই না, সেনাবাহিনীরও বহুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

“এবং আপনারা যদি বিভিন্ন জেলখানাগুলিতে খোঁজ করেন যে, কোন জেলে কতজনকে এভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তাহলে দেখবেন এই রকম হাজার হাজার মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাদেরকে ওই সময়ে হত্যা করা হয়েছে, গুম করে ফেলায় তাদের পরিবারের সদস্যরা লাশও পায়নি। তারা যে এভাবে ‘হারিয়ে গেল’ তারও কোনো জবাবদিহি হয়নি।

“এটা একটা আশার কথা যে, আজকে এত বছর পর সবার এই চেতনাটা এসছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন এতকাল সবাই কেন এটা ধরে ছিল?”

জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে ‘নিষ্কন্টক’ করার জন্য এসব ঘটিয়েছিলেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “এটাতো জানা কথা। এবং একের পর এক শুধু সেনাবাহিনীতেতো না, আমাদের আওয়ামী লীগসহ বহু নেতাকর্মীকেওতো হত্যা করেছে, গুম করে দিয়েছে।

“মনে হয় যেন তাকে এমন একটা ফেরেশতার মত বানিয়ে দেওয়া হল, শেষকালে স্বাধীনতার ঘোষকও বানিয়ে ফেলা হল। সেটা নিয়ে তেমন কেন কেউ কথা বলেনি, এটা আমার বড় প্রশ্ন।”

বিএনপিও যে ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেনি, সে কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মিউটিনির বিচার করে ১১ জন সামরিক অফিসারকে যে ফাঁসি দিল, সেটাও কিন্তু ‍খুব অন্যায়ভাবে; কারণ এখানে অনেকে জানতই না, কিন্তু রাতারাতি একটা ক্যামেরা ট্রায়াল করেই তাদের ফাঁসি দিয়ে দিল।

“আমরা কিন্তু তখন তার প্রতিবাদ করেছিলাম, যে না এটা তদন্ত হওয়া দরকার। এই মিউটিনিটা কেন হল, কারা করল, কারা জড়িত, তারপর কাদের ফাঁসি দিচ্ছি- তা কিন্তু করেনি।”

বিমান প্রসঙ্গ

ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ড্রিমলাইনার নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার যে সমালোচনা বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল করছে, তার জবাবও এক প্রশ্নে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্য যে, করোনার কারণে অনেক জায়গায় যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বিমানগুলিকে প্রতিনিয়ত বসে থাকতে হয়, আর মেনটেইন্যান্সেরও একটা খরচা আছে। পড়ে থাকলেও কিন্তু ইঞ্জিন চালু রাখা, এটাকে ফ্লাই করানো এর পেছনে কিন্তু একটা খরচ হয়।

“আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু যাবই, তখন অন্য এয়ারলাইন্সকে টাকা দিয়ে লাভ কি? নিজেদেরটাই নিয়ে যাই। সেটার সাথে সাথে এটা বোয়িং, অ্যামেরিকান বিমান, জেএফকেতে নামবে সেটাও আমাদের জন্য একটা আনন্দের বিষয়। এর মধ্যে ফুয়েল নেওয়ার জন্য আমরা ফিনল্যান্ডে অবতরণ করি।”

ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট চালানোর যে স্লট ছিল, সেটা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, “আমরা যখন নতুন বিমানগুলো কিনলাম, সেটার সাথে সাথে আমাদের একটা প্রচেষ্টা ছিল ওই স্লটটাকে ধরে রাখা।

“এয়ারক্রাফটগুলো চলতে গেলে অনেক নিয়মকানুন মানতে হয়। সেটাকে সামনে রেখে আমরা নতুন আইনও করেছি, তাছাড়া আমাদের আলোচনাও চলছে।”

টরন্টো, নিউ ইয়র্কসহ আরও কয়েকটি রুটে বিমানের ফ্লাইট চালানোর জন্য সরকার চেষ্টা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই বিমানটা বাংলাদেশ থেকে, ঢাকা থেকে সরাসরি ১৪ ঘণ্টায় নিউ ইয়র্ক পৌঁছাতে পারে। এর পরিচালন ক্ষমতা প্রায় ১৭ ঘণ্টার মত।

“আমরা যখন নিয়ে আসি, সিয়াটল থেকে একটানে চলে আসে। সেজন্য আমাদের একটা চেষ্টা আছে, বিমানটা এভাবে চালু করব।”

সমালোচকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন অনেকে অনেক কথা বলে, বলতে পারে, যেটা বলবে, সেটা তার মুখেই থাকবে। তো যখন যেটা বলে, পরবর্তীতে জিজ্ঞেস করতে পারেন তাদেরকে, আমাদের জিজ্ঞেস করেতো লাভ নেই।

“আমার চেষ্টা আমার দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরা। দেশের মানুষের কল্যাণ করা, দেশটাকে উন্নত করা এবং একটা আন্তর্জাতিক মর্যাদায় যেন আমার দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারে, সেই জায়গটায় নিয়ে আসা। সেটুকু করে যাচ্ছি।”

ছবি: পিএমও

‘ভয় পেলেই ভয়’

দুই দশক পর আফগানিস্তানের ক্ষমতায় কট্টর ইসলামিক গোষ্ঠী তালেবানের প্রত্যাবর্তানের প্রসঙ্গও প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে আসে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, তালেবানের উগ্রবাদের কোনো প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বে কি না- একাধিক সাংবাদিক এ বিষয়ে সরকারপ্রধানের মতামত জানতে চান। 

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “দেখুন, ভয় পেলে ভয়, ভয় না পেলে কিছু না। কোনো অবস্থাতেই ভয় পাওয়ার কিছু নাই। তবে হ্যাঁ, আমাদের দেশে এক সময় যখন তালেবানের অগ্রাসনে একটা অবস্থান সৃষ্টি করেছিল, আমাদের দেশ থেকে বহু লোক তখন সেখানে গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে আসে, অর্থ সম্পদ বানিয়ে নিয়ে আসে…।

“এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশে। যার জন্য আমাদের দেশে একটা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। যাই হোক, আমরা সেটাকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি।”

বাংলাদেশের সমাজে আবারও তালেবানের সেই নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “একটাই উপায় আমি মনে করি, সেটা হচ্ছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সেটা করতে হবে সবাইকে। সাংবাদিক বন্ধুরা যারা আছেন, আমি সবাইকে বলব এই সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতা সৃষ্টি করবেন।

“আমরা এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি যেন এই ঘটনার কোনো রকম প্রভাব আমাদের দেশে না আসতে পারে। আপনারা জানেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এখন এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।”

টিকা তৈরি করতে বাংলাদেশ ‘প্রস্তুত’

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, মহামারীর মত কোনো দুর্বিপাক বিশ্বে দেখা দিলে একটি শ্রেণি মানুষের কথা না ভেবে নিজেদের আর্থিক লাভের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়, যা মানবজাতির জন্য দুর্ভাগ্য।

“এটা আমার দেশে বলে না, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এটা আমরা লক্ষ্য করি। সে কারণে আমি (জাতিসংঘে) টিকাকে সার্বজনিন করার জন্য বলেছি।

“শুধু তাই না, আমি এটাও বলেছি যে বাংলাদেশ টিকা তৈরি করতে প্রস্তুত এবং সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আলোচনা চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বলেছি আমরা ফর্মুলা চাই।… আমরা এটা বাংলাদেশে প্রস্তুত করতে পারব।”

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে কোনো সঙ্কট আর হবে না হলে আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “যতই লাগুক আমরা নিয়ে নেব। এটা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।”

মুজিববর্ষের ঘর

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষে সরকারের উপহার হিসেবে গৃহহীন, ভূমিহীন লক্ষাধিক মানুষকে বিনামূল্যে যে ঘরগুলো করে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে নয়টি জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া গেছে এবং সরকার সেসব ঘটনায় ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নিয়েছে।

তবে কিছু কিছু ঘর শাবল, হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা হয়েছে জানিয়ে সেরকম কিছু ছবিও সংবাদ সম্মেলনে দেখান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্নীতি বা উপকরণের মানের কারণে এগুলো ঘটেনি।   

“মাত্র নয়টা জায়গায় আমরা দেখেছি সেখানে একটু এদিক ওদিক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেগুলো কিন্তু ধরা হয়েছে এবং সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যখন ঘরগুলো তৈরি হয়েছে তখন এই যে শাবল দিয়ে ফ্লোরগুলো… হাতুড়ি দিয়ে দরজা জানালাগুলো ভাঙা… তাও কিন্তু অনেকগুলো ধরা পড়েছে।”

চার লাখের মত ঘর সরকার ইতোমধ্যে করে দিয়েছে। তার মধ্যে অতিবর্ষণের মধ্যে ‘আট-দশটা’ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনারা এইটুকু দেখলেন... আর যারা ভাঙার পরে আপনাদের কাউকে কাউকে নিয়ে টেলিভিশনে দেখাল, তখন কেন জিজ্ঞেস করলেন না এটা এভাবে কাটা কেন?... জানালাটা কেটে ফেলা কেন? এটা কোনো কিছু দিয়ে যে বাঁকা করা সেটা কেন চোখে পড়ল না আমাদের সাংবাদিক ভাইদের?”

‘সার্চ কমিটির মাধ্যমেই’ নতুন ইসি

আগামী নির্বাচনের জন্য যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, সেটা নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে হবে, নাকি আগের মত সার্চ কমিটির মাধ্যমে হবে তা জানতে চেয়েছিলেন এক সাংবাদিক।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “রাষ্ট্রপতি একটা সার্চ কমিটি করবেন। তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।”

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে। গেল এক দশকে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ দুই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন।

সাংবিধানিক এ সংস্থার সদস্যদের নিয়োগে আইন করার কথা থাকলেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে তা হয়নি। এ নিয়োগ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে সরকারকে। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এ বিষয়ে মতভেদ আছে।

কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের কাজটি সারতে হবে।

গত দুইবারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নতুন বছরের আগেই মধ্য ডিসেম্বরে সংলাপ শুরুর উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি। মধ্য জানুয়ারিতে সংলাপ শেষ হয়।

সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে; নাম প্রস্তাব, বাছাই শেষে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সিইসি ও ইসির নাম প্রকাশ করা হয়।