কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
Published : 30 Sep 2021, 07:07 PM
বৃহস্পতিবার সংস্থার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়ে বলা হয়, “ঘটনার দ্রুত তদন্ত করতে এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।”
৪৮ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বুধবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন তিনি। জেনিভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।
কারা এই রোহিঙ্গা নেতাকে খুন করেছে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
২০১৯ সালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের যে সমাবেশ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা উঠেছিল, তার উদ্যোক্তা ছিলেন মুহিবুল্লাহ।
রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও ও বিদেশি সংস্থার সঙ্গে মুহিবুল্লাহর সম্পর্কও স্থানীয়দের মধ্যে আলোচিত ছিল। ইংরেজি জানার সুবাদে তিনি রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশিদের সঙ্গে আলোচনা চালাতেন।
তাকে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর বলছে, “রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইউএনএইচসিআর গভীরভাবে শোকাহত ও দুঃখিত। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
ইউএনএইচসিআর বলছে, শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে তারা।
বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরটিতে নিজেদের লোকবল বাড়ানোর কথা জানিয়ে সংস্থাটি আরও বলেছে, রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা এবং তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো সরাসরি জানতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচও উদ্বেগ জানিয়েছে।