করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।
Published : 05 Sep 2021, 08:15 PM
রোববার এক বিবৃতিতে সংস্থার এই প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোযুমি।
তিনি বলেন, “পুনরায় স্কুল খুলে দিতে সরকারের সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাচ্ছে ইউনিসেফ। নিরাপদে স্কুল খুলে দিতে উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করব আমরা।”
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।
দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রোববার।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুরুতে সব শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন হবে না। শুধু পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন হবে।
প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ মাস্ক ছাড়া ঢুকতে পারবে না।
মহামারীতে লম্বা সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার স্তর পর্যন্ত বাংলাদেশে চার কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
২৪ অগাস্ট সংস্থার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যত বেশি সময় শিশুরা স্কুলের বাইরে থাকবে- সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের ঝুঁকির কারণে তাদের স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা তত কমে যাবে।
ইউনিসেফ দ্রুত স্কুলগুলো খুলে দিতে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তার জন্য বিস্তৃত পরিসরে পদক্ষেপ নিতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
কোভিড-১৯ এর কারণে যেসব দেশে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
দীর্ঘ সময় সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকলে পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার উপর ‘অত্যন্ত গুরুতর প্রভাব ফেলে’ বলে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোযুমি।
তিনি বলেছিলেন, “প্রান্তিক শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, যা তাদেরকে অধিক দারিদ্র্য এবং অসমতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।
“নিরাপদে স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়া এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনিয়োগ করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আজকের এই সিদ্ধান্ত এই শিশুদের পুরো জীবনকে প্রভাবিত করবে।”
“UNICEF wholeheartedly welcomes the decision by the Government of #Bangladesh to #ReopenSchools. Together with other development partners, we will continue to work closely with the Government to keep schools open safely.”
Tomoo Hozumi, UNICEF Representative in Bangladesh. pic.twitter.com/FKmifw2yOs
— UNICEF Bangladesh (@UNICEFBD) September 5, 2021