যারা শকুন সংরক্ষণ করবে তাদেরকে সরকারি স্বীকৃতির পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
Published : 04 Sep 2021, 07:40 PM
শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তর আয়োজিত ওয়েবিনারে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বনমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী শকুনের বিকল্প নেই। শকুন সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কষ্টসাধ্য।
“তাই প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত ব্যক্তিবর্গ, বিজ্ঞানীদের শকুন রক্ষার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শকুন সংরক্ষণকারী ব্যক্তি ও সংস্থাকে সরকারি স্বীকৃতি ও প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।”
শকুন সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শাহাব উদ্দিন বলেন, “এবছর জানুয়ারি মাসে সরকার শকুনের জন্য ক্ষতিকর ঔষধ কিটোপ্রোফেন নিষিদ্ধ করেছে, যা বাংলার শকুন রক্ষায় বিশ্বব্যাপী একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য ক্ষতিকর ঔষধ যেমন ফ্লুনিক্সিন, এসিক্লোফেনাক যেন আমাদের দেশের বাজারে না আসে সে ব্যাপারেও মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশনা দিয়েছে।
“শকুন সংরক্ষণে ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ২০১৪ সালে দেশের দুটি অঞ্চলকে শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৫ সালে শকুনের প্রজননকালীন সময়ে বাড়তি খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ও সুন্দরবনে দুটি ফিডিং ষ্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।”
২০১৬ সালে প্রণীত ১০ বছরমেয়াদী শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই শকুন সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে অন্যান্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব মোস্তফা কামাল এবং অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এনাম উল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম ইকবাল, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রকিবুল আমিন এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম সংযুক্ত ছিলেন।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইউসিএনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সরোয়ার আলম।