কিশোরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে তলব করেছে হাই কোর্ট।
Published : 18 Aug 2021, 04:48 PM
এ মামলার অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি চেয়ে জেলার হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের আবেদনের শুনানিতে বুধবার রুলসহ এ আদেশ হয়।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফ উদ্দিন ভুঁইয়া।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, “এ মামলায় কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জেলা প্রশাসক আজিম উদ্দিন বিশ্বাস ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধরের নাম এলেও অভিযোগপত্রে তাদের নাম না আসায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদকে তলব করা হয়েছে।
“আগামী ২৪ অগাস্ট সকাল সাড়ে দশটায় আদালতে হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।”
ভূমি অধিগ্রহণের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি দুদকের ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ওই দিনই সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
পরে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক আদালত।
অভিযোগপত্রে সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলাম ছাড়াও আসামি রয়েছেন কিশোরগঞ্জের জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সুপার ও ঢাকা হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম হায়দার, কিশোরগঞ্জ জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের নিরীক্ষক মো. সৈয়দুজ্জামান, অফিস সহায়ক মো. দুলাল মিয়া, সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সাবেক এজিএম ও বর্তমানে ময়মনসিংহের এজিএম মাহবুবুল ইসলাম খান, পূবালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মুখলেছুর রহমান, মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আমিনুল ইসলাম ও রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম।
এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বিচারিক আদালতে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। সেখানে তার আবেদন নাকচ হলে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন।