“১৮ তারিখ পর্যন্ত আস্তে আস্তে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, এরপর ১৯ তারিখে বৃষ্টিপাত শুরু হবে, তখন কমবে।”
Published : 13 May 2024, 09:24 PM
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৩৭ দিনের তাপপ্রবাহে বিরতি টেনেছিল বৃষ্টি, সেই স্বস্তি মুছে দিয়ে ফিরে এল দাবদাহ।
সোমবার দেশের ৭ জেলা এই তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে। ঈশ্বরদীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৮ তারিখ পর্যন্ত আস্তে আস্তে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, এরপর ১৯ তারিখে বৃষ্টিপাত শুরু হবে, তখন কমবে।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে দেশের সর্বোচ্চ ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় ৫ মিলিমিটার এবং হাতিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর বাইরে আর কোথাও পরিমাপযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
চলতি গরমের মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৬ মে পর্যন্ত রেকর্ড ৩৭ দিন ধরে ওই ধারা চলে। এরপর গত এক সপ্তাহ ধরে ঝড়বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় স্বস্তি ফিরেছিল জনজীবনে।
• বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
• টানা দাবদাহের মধ্যে ৩০ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। চুয়াডাঙ্গায় সেদিন থার্মোমিটারের পারদ ওঠে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। আর ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।
মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
চলতি মাসে নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বর্ষণের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার উপরে যেতে পারে।