আড়াই মাস আগে নারায়ণগঞ্জে ট্রাফিক বক্সে যে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছিল কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট; সেটি তৈরির প্রশিক্ষণ অনলাইনে পেয়েছিল নব্য জেএমবির সদস্যরা।
Published : 02 Aug 2021, 01:38 PM
রোববার রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের পর এই তথ্য জানিয়েছে সিটিটিসি।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন অনলাইনে সংগঠনের প্রশিক্ষক ফোরকানের কাছে বোমা তৈরি শিখেছিলেন।
গত ১৬ মে সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের ট্রাফিক বক্সে পাওয়া বোমাটি রিমোর্ট কন্ট্রোলের ক্রুটির কারণে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়নি বলে জানান আসাদুজ্জামান।
যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে খাত্তাব ও মো. খালিদ হাসান ভূইয়া ওরফে আফনান।
তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, তিনটি বিউটেন গ্যাসের ক্যান, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, চার প্যাকেট বিয়ারিং বল, টেপ, আইইডি তৈরির ম্যানুয়াল ও একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ১১ জুলাই আড়াইহাজার থানার নোয়াগাঁও থেকে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“তারা জানিয়েছে, নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান জন ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালীর নির্দেশে ১৬ মে ট্রাফিক বক্সে বোমাটি রাখা হয়েছিল। শফিকুর ও খালিদ ম্যানুয়াল ও ভিডিও দেখে বোমা তৈরির অনলাইন প্রশিক্ষক ফোরকানের তত্ত্বাবধানে আব্দুল্লাহ আল মামুনের কক্ষে আইইডিটি তৈরি করে।”
ফোরকান তিনি বলেন, “তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই পর্যন্ত জানতে পেরেছি ফোরফান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষার্থী।”
অনলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পুলিশও তৎপর রয়েছে।
গ্রেপ্তার শফিকুর ও খালিদের কাছ থেধকে আরও তথ্য পেতে তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
দুজনকে সোমবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে আনার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্যান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক বনি আমিন।
তিনি আসামিদের ১০ দিন করে হেফাজতে চাইলেও শুনানির পর ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।