স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক দৃষ্টান্ত এখন বাংলাদেশ।
Published : 26 Mar 2021, 07:21 PM
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি একথা বলেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রেসিডেন্টের বার্তাটি পড়ে শোনান।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বাইডেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে, আমি বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
“বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক দৃষ্টান্ত; উচ্চাশা ও সুযোগের এক দেশ। অসাধারণ এ অর্জনের জন্য আপনাকে ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।”
১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়াকে বিশ্বের সামনে ‘বাংলাদেশের মানবিকতা ও উদারতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’ হিসেবে তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, “এই সঙ্কটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্র অবিচল অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।”
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে আমার প্রশাসন আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করি।”
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দেয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যৌথ অঙ্গীকার শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তি তৈরি করে।
“আগামী ৫০ বছর ও আরেও বেশি সময় ধরে আমাদের দুই দেশের জনগণের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এই অঙ্গীকারগুলো আরো জোরদার করতে আপনার সাথে কাজ করার প্রত্যাশা করছি।”
বাইডেনের বক্তব্য পড়ে শোনানোর পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির একটি বক্তব্যকেও উদ্ধৃত করেন মিলার।
যেখানে কেনেডি বলেছিলেন, এই স্বাধীনতা আপনাদের এবং নতুন এই দেশের মানুষের হাতেই এ দেশের ভবিষ্যৎ।
এরপর মিলার বলেন, “বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গল্প আগামী প্রজন্মের কাছে তথা বিশ্বের কাছে শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। বাঙালী জাতির এই আত্মপ্রকাশ অন্যান্য ভূখণ্ডের মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
“জীবনের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার অংশীদার হবে তারা এবং যারা আপনাদের সাহসিকতার চেতনাকে ধারণ করবে এবং এখনও যারা আপনাদের মতো স্বাধীনতা পায়নি তাদের সবার জন্য এটি একটি প্রতীক হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে কর্মরত আমেরিকান ও বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে আমি বলব- বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫০তম বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা!
“আমরা আপনাদের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করে আনন্দিত। আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের প্রতি শ্রদ্ধা এবং এদেশের জনগণের অসামান্য অগ্রযাত্রার প্রতি অভিবাদন জানাই।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমার প্রিয় কবিতা ‘নাই বুঝি পথ’-এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন লিখেছেন, ‘নবগান হয়ে গুমরি উঠিল বুকে’, তেমনি আগামী পঞ্চাশ বছর বা আরও পরে প্রতিদিন এভাবেই আমাদের আশাবাদ জেগে উঠুক এবং সেই নতুন দেশ নতুন নতুন বিস্ময় নিয়ে আমাদের কাছে ধরা দিক।”