ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর শাহবাগে বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার সাতজনের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ঢাকার আদালত।
Published : 03 Mar 2021, 05:29 PM
বাম ছাত্র সংগঠনের এ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রিমান্ডে না পাঠিয়ে তাদের কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন বিচারক।
তারা হলেন- তামজীদ হায়দার, নজির আমিন চৌধুরী জয়, এ এস এম তানজিমুর রহমান, আকিব আহম্মেদ, আরাফাত সাদ, নাজিফা জান্নাত, জয়তী চক্রবর্তী। এদের সাতজনই ছাত্র ইউনিয়নে যুক্ত, আরাফাত সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টে যুক্ত।
সেদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে তার শুনানির জন্য বুধবার শুনানির জন্য দিন রাখা হয়েছিল।
মশাল মিছিল থেকে পুলিশ হত্যাচেষ্টার মামলায় বুধবার তাদের জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন সোহেল আহমেদ, আসাদুজ্জামান রচিসহ আরও আইনজীবীরা।
তারা বলেন, এই ছাত্র ইউনিয়নে কোনো দুর্বৃত্ত শিক্ষার্থী নেই। এই সংগঠনের কমীরা কোভিড-১৯ মহামারীতে লক্ষ লক্ষ স্যানিটাইজার তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তা দরিদ্রমানুষের কাছে নিয়ে গেছে। তাছাড়া জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন দেশ জোট, আন্তর্জাতিক মহল তাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুনানির পর ওই সাতজনের মুক্তি চেয়ে তাদের সহযোগীরা স্লোগান দিতে থাকলে আদালতে হাজির পুলিশ ৬/৭ জনকে আটক করে । পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে মশাল মিছিল করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।
টিএসসি থেকে মিছিলটি শাহবাগ মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে পৌঁছানোর আগেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে। তখন সাতজনকে আটক করে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি মামুনুর রশীদ বলেছিলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতানামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন থানার এসআই মিন্টু মিয়া।