পৌরসভা নির্বাচনের পাট গুছিয়ে রোজা শেষে আগামী মে মাসে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 11 Feb 2021, 05:48 PM
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে একথা জানান।
পৌরসভা নির্বাচনে চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের ভোট রয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। মার্চে হালনাগাদে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর রমজান রয়েছে।
সিইসি বলেন, “শেষ ধাপের বাদ বাকি পৌরসভা ও নির্বাচন উপযোগী কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৭ এপ্রিল করার প্রস্তাব এসেছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। ক’টি পৌরসভা ও ইউপি ভোট করা যায়, তা পর্যালোচনা হবে এ সময়।”
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপি রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে ২২ মার্চ থেকে জুন পযন্ত ছয় ধাপে চার হাজারের বেশি ইউপির ভোট হয় দলীয় প্রতীকে। এবারও দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।
কবে নাগাদ বেশিরভাগ ইউপিতে ভোট হবে- জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, “ভোটার তালিকা চূড়ান্ত প্রকাশের বিষয়, সিডি তৈরি ও রমজান রয়েছে। ৭ এপ্রিল কিছু হবে। তবে ঈদের পরে মধ্য মে মাসে ইউপি নির্বাচন শুরু হবে।”
পাঁচ বছর আগে মার্চের শেষ সপ্তাহে ভোট শুরু করে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ছয় ধাপে ভোট হয় ইউপির।
২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ২৯ ধারায় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কার্যকাল বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রথম সভা অনুষ্ঠানের তারিখ হতে পাঁচ বছর মেয়াদ থাকবে পরিষদের।
পরিষদ গঠনের জন্য কোনো সাধারণ নির্বাচন ওই পরিষদের জন্য অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ হতে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্য কোনো কারণে নির্ধারিত ৫ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে।
পৌরসভা ভোটে গোলযোগ
চলমান পৌরসভা নির্বাচনে গোলযোগ-সহিংসতা রোধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।
পৌর ভোটের তিন ধাপের অভিজ্ঞতা ও সামনে দুই ধাপের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, “ব্যাপকভাবে [সংঘাত] হয়েছে তা নয়। তবে যেগুলো হয়েছে, আমাদের কাম্য নয়। … এগুলো যাতে না হয় সেজন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রাখি।”
সিইসি জানান, চার নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। কোনো জায়গায় গোলযোগের খবর পেলে কমিশনাররা কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, “আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। ইসির ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার, আমরা সব ঠিকভাবে দেখেছি। আশা করি, সামনের নির্বাচন ভালো হবে, সংঘাত-সংঘর্ষ হবে না।”
তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সহনশীল থাকার উপরও জোর দেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সংগ্রহে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এর সদস্যদের সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।