বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত এ বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
Published : 20 Dec 2020, 09:05 AM
রোববার সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার পিলখানার স্মৃতিস্তম্ভ ‘সীমান্ত গৌরব’ এ তিনি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে সকাল ৯টায় পিলখানায় বিজিবি সদরদপ্তরে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সকাল ১০টায় সেখানে বসবে মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার। করোনাভাইরাস মহামারীতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এবার এই বিশেষ দরবার হবে ভার্চুয়ালি।
দেশের সকল প্রান্ত থেকে বিজিবি সদস্যরা ভার্চুয়ালি এ দরবারে যুক্ত থাকবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দরবার শেষে অনারারি সুবেদার মেজর থেকে অনারারি সহকারী পরিচালক এবং অনারারি সহকারী পরিচালক থেকে অনারারি উপপরিচালক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় মহাপরিচালকের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক ইনসিগনিয়াসহ প্রশংসাপত্রও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজিবি দিবস উপলক্ষে পিলখানাসহ সকল ইউনিটে কেক কাটার পাশাপাশি প্রীতিভোজের আয়োজন থাকছে। মাগরিবের নামাজের পর পিলখানার সকল মসজিদে সীমিত আকারে মিলাদ ও বিশেষ দোয়া হবে।
সোয়া দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই আধাসামরিকবাহিনীর নাম স্বাধীনতার আগে ছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এর নাম হয় বাংলাদেশ রাইফেলস।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় রক্তাক্ত বিদ্রোহ এবং ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নাম বদলে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। বাহিনীর পোশাক ও পতাকাতেও পরিবর্তন আসে।
বিজিবি পুনর্গঠনের পর থেকে প্রতি বছর ২০ ডিসেম্বর বিজিবি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।