বাংলাদেশে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়াজনিত দুর্যোগের মত পরিস্থিতি তৈরি হলে জরুরি ভিত্তিতে তা মোকাবেলার জন্য একটি দিক নির্দেশনার খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
Published : 16 Nov 2020, 06:09 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে ‘জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক জরুরি অবস্থায় প্রস্তুতি ও সাড়া দান পরিকল্পনা’র খসড়া অনুমোদন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ‘সেইফটি মেজারের’ অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
“আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের রিকোয়ারমেন্ট আছে যে এই ধরনের পাওয়ার প্ল্যান্ট করার আগে সেইফটি গাইডলাইন ও রেসপন্স প্ল্যান থাকতে হবে। না হলে তারা চালু করার সুযোগ দেবে না। সেজন্য আইএইএ-এর গাইডাইন-স্ট্রাকচার অনুযায়ী এটি তৈরি করা হয়েছে।”
বাংলাদেশে যেহেতু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ ধরনের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে, সেহেতু ‘জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ক জরুরি অবস্থায় প্রস্তুতি ও সাড়াদান পরিকল্পনা’ দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়া বিষয়ক জরুরি অবস্থার ধরন সম্পর্কেও প্রস্তাবিত দলিলে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
“মানে কী ধরনের দুর্যোগ হতে পারে- আমাদের আসলে সে আইডিয়া নেই, এই গাইডলাইন আমাদের সেই আইডিয়া দেবে।”
তেমন পরিস্থিতি হলে ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে আনোয়ারুল বলেন, “পৃথিবীতে এ পর্যন্ত প্রায় আটটি ডিজাস্টার হয়েছে। চারটা আমেরিকায়, একটা সোভিয়েত ইউনিয়নে, গ্রেট ব্রিটেনে এবং জাপানে সুনামির সময়। এগুলোর এক্সপেরিয়েন্সকে তারা কাউন্ট করেছে এবং আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কাঠামো দাঁড় করানো হবে, যে কখনও কিছু হলে কীভাবে ফেইস করতে হবে। এজন্য আর্মড ফোর্সসহ পর্যাপ্ত জনবল যারা আছে, তাদের প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হবে।”
তিনি বলেন, “এতে মূলত বাংলাদেশে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়াজনিত দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য একটা যথাযথ ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হবে। আল্লাহ না করুক, ডিজাস্টার হোক বা না হোক, সেই ডিজাস্টারের জন্য আগে থেকে প্রস্তুতির জন্য এটা গাইডলাইন।”