বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সংস্কারের দাবি তুলেছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।
Published : 31 Oct 2020, 09:02 PM
রাজধানীর পল্টনে মুক্তিভবনে শনিবার ‘আইনজীবী সনদ অধিকার আন্দোলন’ নামে একটি প্লাটফর্ম এ দাবি তুলে।
আইনে স্নাতকদের শিক্ষানবিশকাল ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করার পাশাপাশি তালিকাভুক্তির তিন ধাপের প্রক্রিয়া সংস্কার করে দ্রুত ও সৃজনশীল উপায়ে বছরে দুই বার পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে চার দফা দাবি তুলে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক সুজন বিপ্লব।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিদ্যমান সনদ পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষানবিশদের আইন পেশা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বার কাউন্সিলের নিয়মিত পরীক্ষা না নিতে পারার ব্যর্থতার মাশুল দিচ্ছে আইন শিক্ষার্থীরা। এই সঙ্কট উত্তরণে বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের বিকল্প নেই।
তিন ধাপের পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে সৃজনশীল পদ্ধতিতে বছরে দুবার পরীক্ষার দাবি ছাড়াও উপজেলা আদালত চালু করার পাশাপাশি গ্রাম আদালতের বিচার প্রক্রিয়া সংস্কার করে বিচারক ও আইনজীবী নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।
আইনের স্নাতকদের শিক্ষানবিশকাল ছয় মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করারও দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
ইউজিসি ও বার কাউন্সিলের সমন্বয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদে আইনে স্নাতক পর্যায়ে ছাত্রসংখ্যা নির্ধারণ অথবা পৃথক বিশেষ প্রতিষ্ঠান গঠনের মাধ্যমে ছাত্র সংখ্যা, সিলেবাস ও পেশাগত সংকট নিরসনের ব্যবস্থা করা এবং আদালতে মামলা পরিচালনায় নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত শিক্ষানবিশ আইনজীবীর অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করাসহ তাদের ন্যূনতম শিক্ষানবিশকালীন সম্মানী ফি নির্ধারণ করা।
এসব দাবি আদায়ে রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিল চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দাবিপক্ষ পালন, ১৬ থেকে ৩০ নভেম্বর সাংগঠনিক পক্ষ পালন ও ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় কনভেনশনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও রয়েছে শীর্ষ আইনজীবী ও আইনজীবী নেতাদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রুমি আক্তার, দীপক শীল, মহিউদ্দিন রুমি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ তাহের, আইনুন নাহারসহ আরও অনেকেই।