যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে ২০১২ সাল থেকে কাতার হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
Published : 04 May 2024, 07:47 PM
আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলামন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে বের করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার। এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে দেশটির সরকার। যার ভিত্তিতে রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যলয় থাকবে নাকি তা বন্ধ হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কাতারের এক কর্মকর্তা।
কাতার সরকারের পর্যালোচনা সম্পর্কে অবগত আছেন এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
গতবছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজার সশস্ত্র সংগঠন হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, হামাসকে তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় পরিচালনা অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা বিবেচনা করছে কাতার। সেই সঙ্গে কাতার সরকার আরও কিছু বিষয় নিয়েও পর্যালোচনা করছে। যার মধ্যে গাজা যুদ্ধ অবসানে দেশটিকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে হবে নাকি হবে না, সেটাও রয়েছে।
গত মাসেই কাতার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তারা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “যদি কাতার মধ্যস্থতায় না থাকে তবে দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় রাখার কোনো মানে সরকারের কাছে থাকবে না। বিষয়টি তাই তারা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে।”
যদি হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কাতার সরকার সেক্ষত্রে হামাস নেতাদেরকে তারা দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেবে কিনা এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
গাজা যুদ্ধ বন্ধের চলমান আলোচনায় ইসরায়েল ও হামাস কিভাবে সাড়া দেয় তার উপর কাতারের নিজস্ব মূল্যায়ন অনেকখানি নির্ভর করবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্ট নাম প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করে। খবরে বলা হয়, ওয়াশিংটন দোহাকে বলেছে, যদি হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ক্রমাগত বাতিল করতে থাকে তবে হামাসকে কাতার থেকে বের করে দিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির অধীনে ২০১২ সাল থেকে কাতার হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
৭ অক্টোবরের পর থেকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ দোহায় বসবাস করছেন এবং সেখান থেকে নিয়মিত তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ সফর করছেন।
নেটোর বাইরে ওয়াশিংটনের বড় মিত্রদের একটি পারস্য উপসাগরীয় দেশ কাতার।
এসএনএল
ছবি: Qatar-040524-01
পুরনো ছবিতে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ। ছবি: কাতার সরকার