বাবা-মার স্বপ্ন পূরণ করলেন গাইবান্ধার হজরত আলী।
Published : 04 May 2024, 07:54 PM
শখ পূরণে মানুষ কতকিছুই না করে। তেমনি এক ঘটনার সাক্ষী হলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দারা। বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে করে নববধূকে বাড়িতে তুললেন পোশাক শ্রমিক হজরত আলী।
নিজেরদের শখ পূরণ করতে একমাত্র ছেলে পোশাক শ্রমিক হজরত আলীর বিয়েতে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় হেলিকপ্টার ভাড়া করেন মো. রফিকুল আকন্দ ও সালমা বেগম দম্পতি।
২২ বছর বয়সি হজরত আলী উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল আকন্দের সন্তান। তার মায়ের নাম সালমা বেগম।
কনে রিফা মনি (১৮) একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইসবপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের এনামুল হক ও শেফালি বেগম দম্পতির মেয়ে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার ভাতগ্রাম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে হেলিকপ্টারে উঠেন বর হজরত আলী। একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দরসুলপুর গ্রামের আমিনুর রহমান নান্নুর ইট ভাটার ফাঁকা মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহফুজার রহমান মাফু বলেন, বর ও কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। একই উপজেলার দুই ইউনিয়নের বাসিন্দা তারা। দূরত্ব যাই হোক না কেন রফিকুল ও সালমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে বিয়ে করাবেন হেলিকপ্টারে চড়িয়ে। যেমন স্বপন, তেমন কাজ। অবশেষে বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন হজরত আলী।
হেলিকপ্টার চড়ে বর আসায় মেয়ের বাবা এনামুল হক ও মা শেফালি বেগম মহাখুশি। তারা বলেন, জামাই হেলিকপ্টার চড়ে আমাদের মেয়েকে বিয়ে করতে এসেছে। বিষয়টি খুবই আনন্দের।
রফিকুল আকন্দ ও সালমা বেগম জানান, হজরত আলী তাদের একমাত্র সন্তান। সে এখন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। হজরত আলী জন্মের পর থেকে তারা স্বপ্ন বুনেন তাকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। অবশেষে শুক্রবার বিকালে আকাশ পথে গিয়ে বিয়ে করলেন হজরত আলী।
রফিকুল আকন্দ বলেন, অনেক দিনের ইচ্ছাপূরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। হেলিকপ্টার ভাড়া এক লাখ ২০ হাজার টাকা এবং বিয়ের দেনমোহর ৭০ হাজার টাকা; যা বিয়ের আসরেই পরিশোধ করা হয়েছে।