ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার আসামি মো. মজনুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী হাকিমসহ চারজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Published : 21 Oct 2020, 07:36 PM
বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে তারা জবানবন্দি দেন।
সাক্ষীরা হলেন- ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন, ডা. তৌহিদা বেগম, জব্দ তালিকার সাক্ষী এসআই গিয়াসউদ্দিন ও জনৈক সবুজ।
মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি ১৬৪ ধারা জবানবন্দি গ্রহণকারী হাকিম ছাড়া অন্যদের জেরা করেন।
চিকিৎসা প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী চিকিৎসক তৌহিদাকে ধর্ষণের চিহ্ন, জবরদস্তির উপাদান পাওয়া নিয়ে জেরা করা হয়।
জেরা শেষে বিচারক আগামী ২ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করে দেন।
এনিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এই বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী।
জ্ঞান ফেরার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। পরে তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে।
ওই তরুণীর কাছে বর্ণনা শুনে ৮ জানুয়ারি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মজনুকে। ১৬ জানুয়ারি তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মজনু (৩০) জীবিকার তাগিদে বছর দশেক আগে ঢাকায় আসেন। তিনি ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে র্যাবের ভাষ্য।
দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয় আদালতে।
গত ২৬ আগস্ট ভার্চুয়ালি শুনানিতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদীর (ছাত্রীর বাবা) সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হয়। পরদিন ধর্ষিত তরুণী ধর্ষক হিসেবে একমাত্র আসামি মো. মজনুকে শনাক্ত করেন।