রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামি মজনুর বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার সাক্ষী উপ-পরিদর্শক (এসআই) কোমল কুমার সাহাসহ তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Published : 05 Oct 2020, 08:28 PM
সোমবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। অপর সাক্ষীরা হলেন- মো. আবুল ও খায়রুল।
এরপর মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাদের জেরা করেন। তাদের জেরা শেষে আদালত আগামী ১১ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ নিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
এ ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌশুলি আফরোজা ফাহানা আহমেদ অরেন্জ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাক্ষ্যে কোমল বলেন, তিনি দু্টি জব্দ তালিকা তৈরি করেন এ মামলায়। একটিতে সাক্ষী খায়রুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা ঐ শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন এবং অন্যটিতে তার ভ্যানিটি ব্যাগ বা পারস এবং আসামি মজনুর জ্যাকেট আর প্যান্টের বিবরণ দেওয়া হয়। এই দুটি জব্দ তালিকা বিচারক মামলার নথিপত্রে প্রদর্শনী হিসাবে যুক্ত করেন।”
এই বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী।
জ্ঞান ফেরার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। পরে তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে।
ওই তরুণীর কাছে বর্ণনা শুনে ৮ জানুয়ারি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মজনুকে। ১৬ জানুয়ারি তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মজনু (৩০) জীবিকার তাগিদে বছর দশেক আগে ঢাকায় আসেন। তিনি ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে র্যাবের ভাষ্য।
দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয় আদালতে।
গত ২৬ আগস্ট ভার্চুয়ালি শুনানিতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদীর (ছাত্রীর বাবা) সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হয়। পরদিন ধর্ষিত তরুণী ধর্ষক হিসেবে একমাত্র আসামি মো. মজনুকে শনাক্ত করেন।