১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটে নামলেও মহামারীকালে আপাতত খাদ্যভাতা পেলে কর্মসূচি স্থগিতের ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম।
Published : 21 Oct 2020, 05:54 PM
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন বুধবার বিকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপাতত খাদ্যভাতা বিষয়ে চুক্তি করলে শ্রমিকদের মানানো যেত।”
দাবি-দাওয়া নিয়ে নৌযান মালিকদের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটে রয়েছেন পণ্যবাহী নৌযানগুলোর শ্রমিকরা।
এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারা দেশে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে; কেননা নৌপথে পণ্য পরিবহনই সবচেয়ে ব্যয় সাশ্রয়ী।
নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করলেও মালিকরা বলছেন, ‘অযৌক্তিক’ দাবি মানা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়।
খাদ্যভাতার দেওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার বিষয়টিও বলেন তারা।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা শাহ আলম বলেন, “সবই মালিকদের ইচ্ছা। তারা টাকা দিয়ে আইনজীবী দিয়ে রিট করেন, তুলে নেওয়াও তো তাদের কাজ।”
ধর্মঘট তুলতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তৎপরতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে সমাধান হবে।”
বিআইডব্লিটিএর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবুল খায়ের গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই করোনাকালে এমনিতেই সবাই কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। তার উপর এ ধরনের আন্দোলনের যৌক্তিকতা কী রয়েছে?”
তিনি শ্রমিকদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের অধীনে পাঁচ হাজার জাহাজ রয়েছে। এসব জাহাজে প্রায় ২ লাখ শ্রমিক কর্মরত বলে জানান শ্রমিক নেতারা।