ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু; অথচ নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি এই আসনে ভোটারই ছিলেন না।
Published : 17 Oct 2020, 06:36 PM
শনিবার অনুষ্ঠিত এই উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদও ভোট দিতে পারেননি; কারণ তিনিও ভোটার ছিলেন না।
হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের প্রার্থীই ঢাকা-৪ আসনের ভোটার বলে নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে কারও নির্দিষ্ট আসনে ভোটার হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
যাত্রাবাড়ীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল সোয়া ৯টার দিকে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনু।
নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে ভোট কক্ষে যান তিনি। তার সঙ্গে সাংবাদিকরা গেলে মনু নিজেই তাদের ভোট কক্ষে যেতে মানা করেন।
ভোট কক্ষে থেকে বেরিয়ে এসে আমুলিয়া মাদ্রাসার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মনিরুল। এর মধ্যেই তার ভোটগ্রহণ হয়নি বলে খবর চাউর হয়।
এবিষয়ে মনু নিজের আঙ্গুলে ভোটের পর দেওয়া চিহ্ন দেখিয়ে বলেন, “এই যে দেখেন আমি ভোট দিয়েছি।”
যাত্রাবাড়ীর ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নেছার উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে বলেন, “এ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোট দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। উনি তো এখানকার ভোটার না।”
“বিএনপি-আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা উনি পরিদর্শনে এসেছেন,” বলেন তিনি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, “আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী এ আসনের ভোটার নন। সেক্ষেত্রে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। উনারা ভোট দেননি।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহতাবউদ্দিন বলেন, “আমার জানা মতে, ওই দুই প্রার্থী (মনু ও সালহউদ্দিন) ঢাকা-৫ আসনের ভোটার নন। তারা অন্য এলাকার ভোটার।
“যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখেছি-দুই প্রার্থীই এ আসনের ভোটার নন, অন্য এলাকার ভোটার তারা। প্রার্থী হতে তো বাধা নেই, তাদের কেন্দ্র পরিদর্শনেও বাধা নেই। কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছিলেন তারা।”
মনুর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে কে কী বলেছেন, তা আমার জানা নেই।”