শহরের উন্নয়ন চাইলেও রাস্তাঘাট বা অবকাঠামো নির্মাণ বা সংস্কার কাজ করতে গিয়ে যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে বলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
Published : 30 Sep 2020, 04:41 PM
বুধবার গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কে সিটি করপোরেশনের জন্য সুইপার মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ চালানোর সময় নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা হয়। এতে মানুষের ভোগান্তি হয়।
“রাস্তা নির্মাণ করছেন, কিন্তু রাস্তার পাশে দুই-তিন মাস বালু-সিমেন্ট রেখে দিবে। এগুলো উড়ে মানুষের নাকেমুখে আসবে। এটা কোনো ব্যবস্থা নয়।”
“আপনারা যেখানে যে কাজ করবেন, এমনভাবে করবেন যেন এ কারণে অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।আমরা উন্নয়ন চাই, কিন্তু এমন উন্নয়ন চাই না যা করতে গেলে আমাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলবে।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হেলালুদ্দিনসহ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসি এলাকার সড়ক পরিচ্ছন্ন করার জন্য কমপক্ষে ৬০টি সুইপার মেশিন প্রয়োজন হলেও আছে ১৪টি। নতুন ওয়ার্ড হিসাব করলে সংখ্যাটি আরও কম।
তিনি বলেন, রাস্তা পরিষ্কার করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৪ বছরে ডিএনসিসির ৩৭ জন পরিচ্ছন্নকর্মী আহত হয়েছেন। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ালে পরিচ্ছন্নকর্মীদের ঝুঁকি কমবে।
“আমরা রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন করতে সনাতন থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির দিতে যাচ্ছি। আমাদের আরও যন্ত্রপাতি দরকার। মাননীয় মন্ত্রী এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। অনেক বাধা আসছে সব কাজে। কিন্তু আমাদের দৃঢ়তা রয়েছে, সংকল্প রয়েছে।
ইতালির ডুলেভোর তৈরি রোড সুইপার মেশিনে জাপানের কবুতা ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। মেশিনটি চালাতে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৪ লিটার ডিজেল খরচ হবে। মেশিনটি ১ টন ময়লা বহন করতে পারবে। রাস্তায় পানি ছিটানোর জন্য এতে রয়েছে ২০০ লিটারের একটি পানির ট্যাংকি।
এসব মেশিন সরবরাহ করেছে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড। বুধবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে এসব গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকী সিটি করপোরেশনেও সুইপার মেশিন দেওয়া হবে।