কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পুরোদমে অফিস চালুর পর রাতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা আর রাখছে না সরকার।
Published : 31 Aug 2020, 09:05 PM
মহামারীর মধ্যে জনগণের সার্বিক কার্যাবলী/চলাচল নিয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ যে আদেশ জারি করেছে সেখানে রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ রাখা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ৩ অগাস্টের আদেশে বলা হয়েছিল, রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার) বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। অন্যথায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এই আদেশের মেয়াদ সোমবার (৩১ অগাস্ট) শেষ হচ্ছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, প্রত্যেক মন্ত্রণালয় স্ব স্ব বিবেচনায় নিজেরা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
“আমরা শুধু কমন কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। রাতে চলাচলের উপর কোনো বিধিনিষেধ রাখা হবে কি না, তা মন্ত্রণালয়গুলো সিদ্ধান্ত নেবে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা রাখার আর প্রয়োজন নেই। কারণ এখন সব কিছুই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চলে আসায় শুধু স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।”
অতিরিক্ত সচিব রফিকুল বলেন, “প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে আলাদা আলাদাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রয়োজন মনে করলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ফোন করে বা লিখিতভাবে পরামর্শ নিতে পারবে।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে চলা টানা ৬৬ দিনের লকডাউন ওঠার পর গত ৩০ মে থেকে অফিস চলছে। প্রথম দিকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে অফিস চললেও এখন সবাইকে অফিস করতে হচ্ছে।
গত ৩ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত হাটবাজার, দোকান-পাট ও শপিংমল খোলা রাখার সময় রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়। সোমবারের নতুন আদেশে হাট-বাজার ও দোকান খোলা রাখার সময় নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
একজন কর্মকর্তা বলেন, “করোনাভাইরাস শুরুর আগে রাত ৮টার মধ্যেই দোকানপাট বন্ধ করতে হত। যেহেতু আগের আদেশই বহাল আছে তাই নতুন করে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।”