করোনাভাইরাস সংক্রমনের মধ্যেই আসন পূর্ণ করে বাস চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
Published : 20 Aug 2020, 02:05 AM
এ প্রস্তাব মানা হলে বাড়তি ভাড়া বাদ দিয়ে আগের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।
সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, “বর্তমানে সব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে অভিযোগ আসছে। আমরা বলেছি আগের মতো যত আসন তত যাত্রী পরিবহনের সুযোগ দেওয়া হলে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হবে না।”
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেছেন, প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আসবে।”
বৈঠকে সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন বলে জানান এনায়েত উল্লাহ।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে ৬৬ দিনের লকডাউন শেষে গত ১ জুনে থেকে শর্তসাপেক্ষে বাস চলাচল শুরু হয়।
গত ৩১ মে মহামারীর মধ্যে কম যাত্রী তুলতে হবে বলে মালিকদের ক্ষতি পোষাতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা এবং নগর পরিবহনের বাস ও মিনিবাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে একজন যাত্রীকে বাস ও মিনিবাসের পাশাপাশি দুটি আসনের একটি আসনে বসিয়ে অন্য আসনটি অবশ্যই ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছিল।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজার রাখা এবং কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না বলে শর্ত ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার যে নির্দেশনা দিয়েছিল এবং জনসাধারণের চলাচলে যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল, তা ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।