ধাক্কা মেরে মর্নিং বার্ডকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য নিজের সহকারীকে দায়ী করেছেন ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা।
Published : 16 Jul 2020, 07:33 PM
বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা জানিয়েছেন।
এরপর মাস্টার বা প্রধান চালক বাশারের সহকারী বা সুকানি মো. নাসির মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে তিন দিনের হেফাজতে নিয়েছে নৌপুলিশ।
গত ২৯ জুন সকালে সদরঘাটের কাছে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামের ছোট লঞ্চটি ডুবে যায়। তখন মাস্টার বাশারের বদলে সুকানি নাসির লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটনায় নৌপুলিশ মামলা করার পর গত ১২ জুলাই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে আসামি বাশারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
তিন দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বাশারকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করে নৌপুলিশ।
আদালত পুলিশের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাশার মোল্লা নিজেকে না জড়িয়ে দায় চাপিয়েছেন লঞ্চের সুকানি নাসির মৃধার উপর। তারা দুজনেই ময়ূর-২ লঞ্চের সঙ্গে যুক্ত। জবানবন্দিতে বাশার বলেন, ‘আমি সিগনাল দিলেও সুকানি নাসির লঞ্চ চালাতেই থাকে, আমরা লঞ্চ থামানোর নির্দেশ সে মানে নাই, যে কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে’।”
হাকিম মিশকাত শুকরানা আসামি বাশারের জবানবন্দি নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই আদালতে নাসিরকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার এসআই শহিদুল আলম।
শুনানি শেষে হাকিম মিশকাত শুকরানা তিন দিনের হেফাজতে পাঠান।
নাসিরকে ১৫ জুলাই ভোরে বাগেরহাট জেলার বন্দর এলাকায় অবস্থানরত এমভি রাজিব-২ কার্গো জাহাজ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাসির বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর এলাকার মো. শাহজাহান মৃধার ছেলে।
এই মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিসহ মোট ছয়জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ ও র্যাব। এজাহারের আসামিদের মধ্যে ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার জাকির ও গ্রিজার হৃদয় এখনও পলাতক।
নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলমের করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।