বুধবার ভোরে মোংলার পশুর নদীতে এমভি রাজীব-২ লঞ্চ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যে মামলা করেছে, নাসির মৃধা তার ৬ নম্বর আসামি।
ময়ূর-২ লঞ্চের ইঞ্জিন চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেনকেও বুধবার সকালে ঢাকার সূত্রাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ।
পরে তাদের ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক চার দিন করে রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
শিপন ও শাকিলের আগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ময়ূর লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার ও সুপারভাইজার আব্দুস সালাম।
গত ২৯ জুন ঢাকা সদরঘাটের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে আসা মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় নৌ-পুলিশে এসআই শামছুল আলম বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। প্রাণহানির ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিসহ মোট ছয়জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ ও র্যাব। এজাহারের আসামিদের মধ্যে ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার জাকির ও গ্রিজার হৃদয় এখনও পলাতক।