নভেল করোনাভাইরাসের কারণে অবরুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এ বছর রোজা ভিন্ন আমেজে পালিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
Published : 22 Apr 2020, 09:33 PM
রোজায় পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথাও বলেন তিনি।
বুধবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সব রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন, বিশেষায়িত ইউনিট ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদেরকে রোজার সময় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী শনিবার থেকে এ বছর রোজা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, “পণ্যের পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। বর্তমানে অনেক জেলায় ত্রাণ নিয়ে ট্রাক যাচ্ছে। আসার সময় ওই ট্রাকগুলো খালি ফিরে আসছে। ওই খালি ট্রাকগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা করতে হবে।”
“এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রমজানে যেন কোনোভাবেই ফুটপাতে ইফতার তৈরি ও বিক্রি না হয় সে ব্যাপারে তৎপর থাকতে হবে।”
বেনজীর আহমেদ বলেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অনেকের লকডাউন ভাঙ্গার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। মানুষের অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় চলাচল বন্ধ করতে হবে।”
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আইজিপি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক প্রান্তিক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়তে পারে। অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বাড়তে পারে। এ ধরনের অপরাধ দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
ধর্মীয় উস্কানি, গুজব এবং করোনাভাইরাস নিয়ে যাতে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেজন্য কর্মকর্তাদের তৎপর থাকার নির্দেশনা দেন তিনি। জঙ্গিদের তৎপরতা সম্পর্কেও সতর্ক থাকার কথা বরেন তিনি।
ডিএমপির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়
এদিকে বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের সব পযৃায়ের সঙ্গে বিকালে মতবিনিময় করেন নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ।
রাজারবাগের পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বেনজীর আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ একটি বিরল প্রাপ্তি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের খাদ্য, চিকিৎসা, বিনোদনসহ সব প্রয়োজন পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং খোঁজ খবর রাখার নির্দেশও দেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, “পুলিশের সাথে যেসকল আনসার সদস্যরা কাজ করছেন, তাদেরও ভালো-মন্দ আমাদের দেখতে হবে।
“যে ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা নেই, সেক্ষেত্রে আমাদের সদস্যদের নিজেদের পাশাপাশি তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে।”