বাংলাদেশে নতুন করে আরও পাঁচজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।
Published : 26 Mar 2020, 03:11 PM
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য না আসায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই পাঁচজন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
নতুন রোগীদের সবাই পুরুষ। তাদের মধ্যে দুইজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। আর একজন ষাটোর্ধ্ব।
ডা. ফ্লোরা বলেন, “পাঁচজনের একজন বিদেশে থেকে এসেছিলেন। তিনজনের আগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। একজনের ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। কার কাছ থেকে এই সংক্রমণ হয়েছে সেই তথ্যটি এখনও আমাদের কাছে আসেনি।”
নতুন এই পাঁচ রোগীর মধ্যে চারজনের লক্ষণ মৃদু এবং একজনের মধ্যে কোমরবিডিটি (দীর্ঘমেয়াদী অন্য রোগ) আছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সেখানে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯২০ জনের। আইইডিসিআরে গত ২৪ ঘণ্টায় কল এসেছে ৩ হাজার ৩২১টি। এর সবগুলোই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এ নিয়ে আক্রান্তদের মধ্যে সব মিলিয়ে মোট ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
“বাকিরা সবাই হাসপাতালে অথবা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবারই অসুস্থতার লেভেল মৃদু।”
জনগণের সুস্থতার জন্যই সরকার ‘সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ কর্মসূচি’ নিয়েছে জানিয়ে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এতে সবার অংশগ্রহণ খুবই জরুরি।
এই মুহূর্তে জ্বর বা কাশি হলেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত-এটা না ভাবার পরামর্শ দেন আইইডিসিআর পরিচালক।
তিনি বলেন, “এটা ভেবে বিচলিত হবেন না। দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনারা আইইডিসিআরে যোগাযোগ করুন। সেখান থেকে পরামর্শ দেবে। কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। কারও সঙ্গে করমর্দন করা বা কোলাকুলি করবেন না।”