শুক্রবার রাতে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কভিড-১৯ এর উপসর্গ রয়েছে, এমন সন্দেহে গত ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ৪৩৩ জন ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ জনের, তাদের মধ্যে ৩ জনকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করেছে আইইডিসিআর। এ পর্যন্ত সারা দেশে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা ২০জন।
২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৪ হাজার ২৬৪ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন ৫ হাজার ১৫৮ জন।
এ পর্যন্ত সারা দেশে হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন ১৪ হাজার ১৬২ জন। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে এ ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬২ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় পেয়েছেন ২৭৫ জন।
এ পর্যন্ত আইসোলেশন ইউনিটে রয়েছেন ১০৭ জন রোগী, গত ২৪ ঘণ্টায় আনা হয়েছে ৩০ জনকে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে-
# করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা সম্প্রসারণের জন্য ১৬টি পিসিআর মেশিন ক্রয় প্রক্রিয়াধীন। তার মধ্যে সাতটি পিসিআর মেশিন সিএমএসডির হাতে এসেছে।
# করোনা ডক্টরস পোল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে চিকিৎসা, পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হচ্ছে।
# ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় ৮৭ হাজার গ্লাভস, ১৭ হাজার ৭৮৫টি হ্যান্ড রাব, ৪৮ হাজার ২০০টি ফেইস মাক্স-ক্যাপ- জুতার কাভার, ১৩ হাজার ৪৩টি সার্জিক্যাল মাস্ক, প্রটেকটিভ কভারঅল, ৫০০টি কম্বো সার্জিক্যাল প্রটেক্টর, ৩ হাজার ৩৮০টি গাউন, ৫ হাজার ৫৭০টি আই প্রটেক্টর বিতরণ করা হয়েছে।
# সেন্টার ফর মার্কেট অ্যান্ড কনজ্যুমার ডেভেলপমেন্ট- সিএমএসডিতে ১৬ হাজার ১০০টি গ্লাভস, ২২ হাজার ২৯৫টি হ্যান্ড রাব, ৩ হাজার ৪৭৯টি সার্জিক্যাল মাস্ক, প্রটেকটিভ কভারঅল, ৩৪০টি কম্বো সার্জিক্যাল প্রটেক্টর, ১২ হাজার ৬২০টি গাউন, ৪ হাজার ৪৩০টি আই প্রটেক্টর বিতরণ করা হয়েছে।
# কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য গাইডলাইন তৈরি করে সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
# মৃতদেহ ব্যবস্থাপনার গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
# গত চার দিনে ১৬০ জন চিকিৎসককে করোনাভাইরাস বিষয়ে আইপিসির ওপর প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিওটি) দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩), জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নাম্বার -৩৩৩, আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরগুলোর মাধ্যমে ২৬ হাজার ২৯ জনকে কভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা দেওয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৪২ জন বিদেশফেরতের স্ক্রিনিং হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯২ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ১০০ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে।
মংলা ও চট্টগ্রামের সমুদ্র বন্দরে ৮ হাজার ৭৭১ জনের স্ক্রিনিং হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ২৭৫ জনের।
স্থলবন্দরগুলোতে ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৫০ জন বিদেশ ফেরত যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ৩ হাজার ৫৯৩ জনের।
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৭ হাজার ২৯ জনের।