অস্ত্র আইন ও অর্থ পাচারের দুই মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কীভাবে, কোন যোগ্যতায় অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন, কেন তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 03 Mar 2020, 03:01 PM
সেই সঙ্গে দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন ও মো. সামশাদ হোসেনের আয়কর রিটার্নের তথ্যও আগামী বুধবার হলফনামা আকারে দাখিল করতে আসামিপক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অস্ত্র ও অর্থ পাচারের মামলায় এই চার আসামির জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
দুদকের পক্ষে এদিন শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শামীম সরদার।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিকে শামীমের দেহরক্ষীদের অস্ত্রের লাইসেন্স আছে কিনা, থাকলে লাইসেন্সের অনুলিপি, লাইসেন্স কখন পেল, অস্ত্রের যদি লাইসেন্স থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা কেন হল, তারা আয়কর দেন কিনা, দিয়ে থাকলে তাদের আয়কর রিটার্ন সার্টিফিকেট, এসব কিছু হলফনামা করে তাদের আইনজীবীকে জমা দিতে বলেছে আদালত।
“আমরা শুনানিতে বলেছি, যেসব অপরাধের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সম্মিলিতভাবে। অর্থাৎ এটি একটি অর্গানাইজড ক্রাইম। তাছাড়া তাদের অস্ত্রের যদি লাইসেন্সই থাকবে, তাহেল তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা হবে কেন? তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো তদন্তাধীন। এ পর্যায়ে তাদের জামিন হলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে। পরে আদালত তথ্য জানতে চেয়েছে।”
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর জি কে শামীমের চার দেহরক্ষীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তারা ৩ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে এসে জামিন আবেদন করেন। তখন আদালত তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। কেন তাদের জামিন দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের নিকেতন থেকে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই অভিযানে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়।
সাত দেহরক্ষীর মধ্যে বাকিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম।