সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে তিনি বলেন, “আপনারা হয়ত অবশ্যই সবাই বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে অবগত আছেন। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত কঠিন একটি সমস্যা।
“এই সমস্যা রোধ করতে আমরা বিশ্বের বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে। এটি বন্ধ করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।”
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক কাজিতা ২০১৫ সালে মৌলিক কণিকা নিউট্রিনো নিয়ে গবেষণার জন্য কানাডার আর্থার বি ম্যাকডোনাল্ডের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনের সমাবর্তন বক্তা এই বিজ্ঞানীকে ডক্টর অব ল’জ ডিগ্রি দেওয়া হয়।
সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের গবেষণা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এই অধ্যাপক।
বিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হয়ত এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রতিনিয়তই এটি আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারবে না।
“তবে দীর্ঘমেয়াদে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের জীবনে মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে আপনারা বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষকে বন্ধু বানাতে পারেন। এইভাবে আমি মনে করি, বিজ্ঞান বৈশ্বিক শান্তি স্থাপনের একটি অন্যতম মাধ্যম।”
সমাবর্তনে সনদ নেওয়া শিক্ষার্থীরা আগামীতে তাদের ‘কাজের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব মানবিকতায় অবদান’ রাখবেন এমন প্রত্যাশার কথা জানান নোবেলজয়ী এই অধ্যাপক।
সমাবর্তনের অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে অংশ নিতে নিবন্ধিত হন ২০ হাজার ৭৯৬ জন স্নাতক ডিগ্রিধারী।
এদের মধ্যে ১০ হাজার ৬৭৩ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের ১০ হাজার ৪৪ জন।
সমাবর্তনে ৭৯ জন কৃতি শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ৯৮টি স্বর্ণপদক, ৫৭ জনকে পিএইচডি, ছয়জনকে ডিবিএ এবং ১৪ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়।