জেলা-উপজেলার আয়তন ও জনসংখ্যা অনুপাতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
Published : 08 Dec 2019, 08:29 PM
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঠিকাদাররা যাতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ‘ করতে না পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “কিছু প্রকল্পে কাজের অগ্রগতির চেয়ে খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনো কোনো কাজে টেন্ডারের পর অর্থের ছাড় দিতে হয়, সেজন্য এমনটি হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ও কাজের অগ্রগতির মধ্যে যাতে সামঞ্জস্য থাকে সেটা আমরা দেখতে বলেছি।”
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ২৯ দশমিক ৮১ শতাংশ আর বাস্তব অগ্রগতি ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকার প্রকল্পের মধ্যে গত ৩০ জুন পর্যন্ত পুঞ্জিভূত ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৭০০ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
গত অর্থ বছরে (২০১৮-১৯) এ প্রকল্পের বরাদ্দের ৭৮ দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ হয়। ওই সময় বাস্তব অগ্রগতি হয় ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থ বছরে আর্থিক অগ্রগতি ২৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ আর বাস্তব অগ্রগতি ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ও ১৫০টি কোচ সংগ্রহ প্রকল্পে দুই বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ অর্থ ব্যয় হলেও প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি শূন্য।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেল লাইন সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আহসান আদেলুর রহমান এবং ওয়াসিকা আয়শা খান বৈঠকে অংশ নেন।