বুধবার রাতে দায়ের করা ওই মামলায় কেবল বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদকেই আসামি করা হয়েছে বলে রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক কুমার দাস জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, থানার উপ পরিদর্শক সুমন বণিক বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অবহেলায় মৃত্যু সংঘটন) এবং বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার বিকালে মনিপুর স্কুলের রূপনগর শাখার বিপরীত দিকে ১১ নম্বর সড়কে ওই বস্তির পাশে ভ্যানে করে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বেলুন ফুলিয়ে বিক্রি করছিলেন আবু সাঈদ।
পাশেই বস্তি এলাকা হওয়ায় অনেকেই ভ্যান ঘিরে এবং আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিল। কেউবা বেলুন কিনছিল। এ সময় হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে ছয়জন হল- রমজান (১১), নুপুর (১০), রুবেল (১২), ফারজানা (৭), রিয়া (৭) ও নিহার (৭)। আরেকজনের পরিচয় পুলিশ জানতে পারেনি।
বিস্ফোরণে আহত মো. সোহেল (২৫) নামে একজন রিকশাচালক বলেন, কাছেই একটি ইলেক্ট্রিক দোকানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
“আমি দেখছি পাশে একজন বেলুনওয়ালা তার গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হওয়ার পর আবার গ্যাস তৈরি করছিল। তখন একজনকে বলতে শুনেছি, এভাবে গ্যাস তৈরি করলে বিস্ফোরণ হবে। তার কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণ হয়।”
বিস্ফোরণে বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদ নিজেও আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরিদর্শক দীপক জানান, পুলিশ পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আসামি আবু সাঈদের।
আরও খবর