নিহার নামের ৭ বছর বয়সী শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান।
ওই ঘটনায় এ নিয়ে মোট সাত শিশুর মৃত্যু হল, আরও ১৭ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিহারের বাবার নাম সারোয়ার হোসেন, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহে। নিহত অন্যদের মত নিহারও পরিবারের সঙ্গে রূপনগরের শিয়ালবাড়ি বস্তিতে থাকত।
বুধবার বিকালে মনিপুর স্কুলের রূপনগর শাখার বিপরীত দিকে ১১ নম্বর সড়কে ওই বস্তির পাশে ভ্যানে করে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বেলুন ফুলিয়ে বিক্রি করছিলেন একজন বিক্রেতা।
পাশেই বস্তি এলাকা হওয়ায় অনেকেই ভ্যান ঘিরে এবং আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিল। কেউবা বেলুন কিনছিল। এ সময় হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়ার পর আহত আরেক শিশু মারা যায়।
নিহার ছাড়া নিহত বাকি পাঁচ শিশুরা হল- রমজান (১১), নুপুর (১০), রুবেল (১২), ফারজানা (৭), রিয়া (৭)। এছাড়া আরেকজনের পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি।
বিস্ফোরণে আহত মো. সোহেল (২৫) নামে একজন রিকশাচালক বলেন, কাছেই একটি ইলেক্ট্রিক দোকানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
“আমি দেখছি পাশে একজন বেলুনওয়ালা তার গ্যাস সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হওয়ার পর আবার গ্যাস তৈরি করছিল। তখন একজনকে বলতে শুনেছি, এভাবে গ্যাস তৈরি করলে বিস্ফোরণ হবে। তার কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণ হয়।”
এ ঘটনায় বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন।
আরও খবর