“তারা সীমা ছাড়িয়েছেন,” এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন তিনি।
একটি ফেইসবুক পোস্টের জের ধরে গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলে তড়িত প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে একটি কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটির ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতায় ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
এরপরেও জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ‘বাক স্বাধীনতার সীমিত’ হওয়ার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।
বিবৃতির পর বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসনকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, উন্নত দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তারা কখনোই তা নিয়ে কথা বলেন না।
“সরকার এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত নয়। তারপরেও তারা এটাকে সুশসান ও বাক স্বাধীনতার সঙ্গে একে মিলিয়েছেন। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে চার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, কিন্তু আমরা জাতিসংঘের কোনো বিবৃতি দেখিনি।”
আবরারের ঘটনায় সরকারের ত্বরিত পদক্ষেপ এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিউ জিল্যান্ডে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সেখানে সুশাসনের ঘাটতি আছে।”