বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 17 Sep 2019, 04:45 PM
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিতা কাটার পর উড়োজাহাজ ঘরে দেখেন তিনি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমানের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান, বিমান সচিব মহিবুল হক, বিমানের এমডি মোকাব্বের হোসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ রাজহংস দেশে পৌঁছায়। বৃহস্পতিবার এটারর ঢাকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও নির্মাতা কোম্পানি দুই দিন সময় চায়।
‘রাজহংস’ যুক্ত হওয়ার পর সব মিলিয়ে বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টিতে।
২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১০টি নতুন এয়ারক্র্যাফট কিনতে চুক্তি করে বিমান।
এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ইতোমধ্যে বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানির দরকার হয়।
২৭১ আসনের ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে বিজনেস ক্লাসের আসন থাকছে ২৪টি। ইন্টারনেট ও ফোনসহ অন্যান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এ উড়োজাহাজে পাওয়া যাবে।
বিমানের চার ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগে পাওয়া তিনটি উড়োজাহাজের নাম রাখা হয়েছে আকাশবীণা, হংসবলাকা ও গাঙচিল।