জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল) থেকে ১৭৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 02 Sep 2019, 07:31 PM
সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- বিডিবিএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ নুরুর রহমান কাদরী ও প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক এসপিও দীনেশ চন্দ্র সাহা; ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান এমএম ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হেফাজেতুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন এবং পাঁচ পরিচালক কামাল উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, শফিক উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন।
এছাড়া ওই ঋণের সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠান লুসিডা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও মের্সাস গ্লোব ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরীকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিডিবিএলের প্রিন্সিপাল শাখার সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা গ্রাহকের বেনিফিসিয়ারি ব্যাংক থেকে পাঠানো জাল নথিপত্র গ্রহণ করে, সেসবের সত্যতা যাচাই না করেই এবং বেনিফিসিয়ারি প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অস্তিত্ব আছে কিনা বা উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে এমএম ভেজিটেবল অয়েল প্রোডাক্টস বাস্তবিকভাবে মালামাল গ্রহণ করেছে কিনা, তা যাচাই করেনি।
‘জাল নথিপত্র জেনেও আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ১৭৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। একই সঙ্গে আত্মসাৎ করা ওই অর্থের হস্তান্তর ও রূপান্তরের প্রমাণ পাওয়া যায়’, বলা হয়েছে এজাহারে।
২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই আত্মসাতের ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।