তলবের দুই মাসের মধ্যেই হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়েছে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার বিচারিক আদালতের মূল নথি, যে মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে।
Published : 20 Jun 2019, 09:41 PM
সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক আদালতের মূল নথি হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা পড়েছে। এখন সেটি সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দেওয়া হবে।”
এই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে গত ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিল হাই কোর্ট।
সেদিন আদালত বিচারিক আদালতের রায়ে দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেওয়ার পাশাপাশি খালেদার জামিন আবেদনটি নথিভুক্ত করে মামলার নথি তলব করা হয়।
জামিনের বিষয়ে খালেদার আইনজীবীদের সেদিন বিচারক বলেছিলেন, “সাত বছরের সাজার মামলায় আমরা জামিন দিই না, তা না।
“যেহেতু অন্য একটি মামলায় উচ্চতর আদালত সাজা বাড়িয়ে দিয়েছে। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। ফলে বিষয়টি জরুরি দেখছি না। নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে। এ মামলায় রেকর্ড না দেখে বেইল দিচ্ছি না।”
নথি আসার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম আইনজীবী এহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন আমরা আগামী সপ্তাহে জামিন আবেদনটি মেনশন করব। এরপরে আশা করি, জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।”
জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেয় বিচারিক আদালত।
পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চার দিন পর গত বছর ১৮ নভেম্বর হাই কোর্টে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।
৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জামিন আবেদনও করা হয়।
এ মামলায় দণ্ডিত চার আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।
হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের আইনজীবী আখতারুজ্জামানও ইতোমধ্যে রায় পর্যালোচনা করে আপিলের সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।