অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর এফআর টাওয়ার পরিদর্শন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
Published : 01 Apr 2019, 01:48 PM
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি, আইইবি এবং বুয়েটের প্রতিনিধি দলও সোমবার ভবনটি পরিদর্শন করে আলামত, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণপূর্তের তদন্ত দলের সদস্যরা ২৩ তলা এফআর টাওয়ারে যায়। মূলত মালিকপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া নকশার সঙ্গে বাস্তবে ভবনটির কতটুকু সামঞ্জস্য আছে তাই খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।
কমিটির সদস্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির বলেন, “মালিকপক্ষ আমাদের কাছে যে নকশা দিয়েছে, বাস্তবে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তাই আমরা দেখতে এসেছি৷”
তবে রাজউকের অনুমোদন করা নকশাটি এখনো তাদের হাতে আসেনি বলে জানান তিনি।
“রাজউকের নকশা এখনও আমরা পাইনি৷ আজ পাওয়ার কথা। সেটি পেলে বিকালে বসে দুই নকশা মিলিয়ে দেখব, ভবনটিতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কিনা।
বনানী ১৭ নম্বর রোডে অবস্থিত এফআর টাওয়ারের পাশে দশটি ভবন একেবারে লাগোয়া। এভাবে ভবন নির্মাণ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
এ প্রসঙ্গে স্থপতি গোলাম নাসির বলেছেন, “১৯৮৪ সালের বিধিমালায় বলা ছিল, বাণিজ্যিক ভবন গায়ে গায়ে লাগিয়ে স্থাপন করা যাবে৷ কিন্তু ছিয়ানব্বইয়ের নীতিতে স্পেস রাখতে বলা হয়েছিল। এটা আমরা এখন তদন্ত করব, রাজউক কোন বিধিমালায় এসব ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে।”
সোমবার দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কমিটির সদস্যরাও এফআর টাওয়ারে যান। ছিলেন আইইবি, বুয়েট দলের সদস্যরাও।
সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভবনটির বিভিন্ন তলা পরিদর্শন করে আইইবির আট সদস্যের প্রতিনিধি দল।
পরে দলের সদস্য সচিব কাজী খায়রুল বাশার জানান, তারা ভবনটির বিভিন্ন তলা থেকে আলামত, ভবনের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।
রোববার দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের গণশুনানিতে এআর টাওয়ারের নানা অব্যবস্থাপনার তথ্য উঠে আসে ভবনটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বয়ানেও ।