১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে বিএনপির প্যাডে লেখা একটি চিঠি বঙ্গভবনে পাঠানো হয়েছিল গত ১৩ ডিসেম্বর।
চিঠিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা কামাল হোসেন জোটের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চান জানিয়ে তার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়।
ওই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, “চিঠি পাওয়া গেছে। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে যদি চিঠির জবাব দিতে হয় তাহলে বিএনপিকে দিতে হবে। কারণ চিঠি বিএনপির নামে। স্বাক্ষর খালেদা জিয়ার একান্ত সচিবের। তাহলে তো আমন্ত্রণ জানাতে হয় বিএনপিকে। অথচ চিঠিতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চান কামাল হোসেন।”
“চিঠিতে বলা হয়েছে কামাল হোসেন রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের ‘অভিপ্রায় ব্যক্ত’ করেছেন। এখানে ‘অভিপ্রায় ব্যক্ত’ করার বিষয় নেই। রাষ্ট্রপতির সাথে কেউ দেখা করতে চাইলে তিনি সম্মতি দেবেন। সাক্ষাতের বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেবেন,” বলেন ওই কর্মকর্তা।
বঙ্গভবনে পাঠানো চিঠিতে আলোচনার বিষয়বস্তু বলা না হলেও বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই সময়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও হয়রানির বিষয়ে ইসিতে অভিযোগ করেও ফল না পাওয়ায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিকার চাওয়ার কথা ছিল ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের।
আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হয়ে বিএনপির বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নামা কামাল হোসেন এবার বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে নিজের পুরনো দল আওয়ামী লীগের বিপক্ষে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচনের প্রচারে সমান সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে আসছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গ ধানের শীষ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও নির্বাচন করায় তা নিয়ে কামালের সমালোচনায় মুখর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।