সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বিচারপতি মো. ফজলুল হকের ছেলে ডা. আফজাল হোসেন রাজের দুর্নীতির মামলা বাতিলের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 13 Nov 2018, 06:35 PM
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
এ আদেশর ফলে বিচারিক আদালতে মামলা চলতে আইনগত কোনো বাধা থাকল না বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও এম এ আজিজ খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
খুরশীদ আলম খান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আবেদনকারী পক্ষের বক্তব্য ছিল, যে আইনে মামলা হয়েছে তখন ওই আইনই ছিল না। ফলে এ মামলা চলতে পারে না।
“আমরা বললাম যে, তারেক রহমানের ক্ষেত্রে এ ধরনের একটা সমস্যা হয়েছিল মানি লন্ডারিংয়ের মামলায়। পরে আপিল বিভাগ বলে দেয়, অপরাধ যেহেতু হয়েছে ফলে মামলা চলতে আইনগত কোনো বাধা নাই। আপিল বিভাগের এ জাজমেন্টটি দেখানোর পর আফজাল হোসেন রাজের মামলা বাতিলের আবেদনটি হাই কোর্ট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, “আবেদনটি খারিজ হওয়ায় বিচারিক আদালতে মামলাটি চলতে আইনগত কোনো বাধা থাকল না।”
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ধানমণ্ডি থানায় মানি লন্ডারিংয়ের এ মামলা করে দুদক।
অভিযোগে বলা হয়, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. ফজলুল হক ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহমেদের তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা থাকার সময় তার ছেলে আফজাল হোসেন রাজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘অবৈধ বদলি বাণিজ্যের’ মাধ্যমে ১০ কোটি ৬১ লাখ ১৩১ টাকার মালিক হন। ওই টাকা তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সিলন ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখায় জমা রাখেন।
তদন্ত শেষে দুদকের সহ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম ২০০৯ সালের ২৫ জুন যে অভিযোগপত্র দেন, সেখানে ৯ কোটি ৬১ লাখ ১৩১ টাকা তুলে উৎস গোপন করা বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর ও রূপান্তরের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়।
দীর্ঘদিন পর গত বছরের ২২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত। ওই অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর হাই কোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন রাজ। সে আবেদনটি মঙ্গলবার খারিজ করে দিল হাই কোর্ট।