রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার এবং অঞ্চল-৩ এর অথরাইজড অফিসার মো. মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স বুধবার মিরপুরের রোকেয়া সরনি ও কাজীপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালায়।
জেসমিন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিরপুরের যেসব প্লট, ভবন ও ফ্ল্যাটে নিয়মের বাইরে কার্যক্রম চালানো হচ্ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“অননুমোদিত, অবৈধভাবে গেস্ট হাউজ, রেস্তোরাঁ, হোটেল, বারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল এসব ভবনে। এ কারণে সেখানে অভিযান চালানো হয়। আমরা ২৬টি হোল্ডিংয়ে অভিযানে গিয়েছি, সেখানে ১৯টি হোল্ডিংয়ের ভবন মালিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।”
বুধবার সকালে শুরু হওয়া অভিযানে সবচেয়ে বেশি জরিমানা করা হয় রোকেয়া সরনির হাতিল কমপ্লেক্সকে। এই আসবাব কোম্পানিকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেসমিন আক্তার বলেন, নিজেদের বহুতল ভবনের দুটি পার্কিংয়ের জায়গা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করছিল হাতিল।
“তাদের দুটি পার্কিংয়ের জায়গা থাকলেও সেখানে গাড়ি পার্কিং না করে গোডাউন এবং ফার্নিচার বানানো ও মেরামত করা হচ্ছিল। সেখানে আসা যানবাহন রাখা হচ্ছিল বাইরের সড়কে। স্বপ্ন সুপারশপের বাণিজ্যিক কোনো অনুমোদনই নেওয়া হয়নি। তাদের প্রতিষ্ঠানে আসা যানবাহনও সড়কে রাখায় যানজট তৈরি হচ্ছিল।”
এছাড়া কাজীপাড়ার লাইফ এইড হাসপাতালকে ৭ লাখ, উড আর্ট ফার্নিচারকে ৫ লাখ, হেরা ফার্নিচারকে ২ লাখ, আকতার ফার্নিচারকে ২ লাখ করে জরিমানা করা হয়।
একই রোডের লাক্সারি ফার্নিচারকে এক লাখ, সওাদাগর ফার্নিচারকে ১ লাখ টাকা, ওরিয়েন্টাল ফার্নিচারকে ১ লাখ টাকা, টিভিএস মোটর সাইকেল শো-রুম মালিককে ২ লাখ টাকা, হোন্ডা মোটর সাইকেল শো-রুমকে ১ লাখ টাকা এবং ওয়ালটনের শো-রুম মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে রাজউকের সহকারী অথরাইজড অফিসার রঙ্গন মন্ডল, মো. ইলিয়াস মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।