স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির প্রায় এক দশকের শাসনকালেও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
Published : 11 Aug 2018, 01:11 AM
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ইতিহাস সম্মিলনী আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ শীর্ষক একক বক্তা ছিলেন তিনি।
শাহরিয়ার বলেন, “পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির পাকিস্তানিকরণ বা মৌলবাদীকরণ বা সাম্প্রদায়িকীকরণ আরম্ভ হয়েছে। বর্তমানে প্রায় একদশক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় থাকার পরও আমরা একাত্তরে চেতনায় ফিরে যেতে পারিনি।
“বাহাত্তরের সংবিধান কার্যকর থাকলে বাংলাদেশে আজ ধর্মের নামে এত নির্যাতন, হানাহানি, সন্ত্রাস, বোমাবাজি, রক্তপাত হতো না।”
বাহাত্তরের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ তুলে শাহরিয়ার কবির বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বহুবার বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়। প্রত্যেক মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও প্রচারের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। শুধু রাষ্ট্র ও রাজনীতি ধর্মের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকবে, কোনো বিশেষ ধর্মকে প্রশ্রয় দেবে না।”
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস পর্যালোচনায় তিনি বলেন, “বাহাত্তরের সংবিধানে জেনারেল জিয়া কর্তৃক বাতিলকৃত রাষ্ট্রের চার মূলনীতি পুনঃস্থাপিত হলেও এখনও সাম্প্রদায়িকতার কলঙ্ক থেকে সংবিধানকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা যায়নি। সেখানেও বাধা হচ্ছে বিভাজনের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রাবল্য।”
বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষাবিদ ড. বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।