ভারত-বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের জন্য তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
Published : 13 Jul 2018, 07:01 PM
একটি বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কুর্মিটোলা বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তাকে অভ্যর্থনা জানান।
রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন রাজনাথ সিং।
তার আগে শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।ওই দিন রাজশাহী পুলিশ একাডেমিতে যাবেন তিনি। তার আগে যমুনা ফিউচার পার্কে একটি ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন।
রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন রাজনাথ সিং। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।
এবার ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সহযোগিতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠকটি হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাইয়ে নয়া দিল্লিতে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলছেন, এবার বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, কনস্যুলার সেবা সংক্রান্ত বিষয় এবং জাল মুদ্রা, মাদক ও মানবপাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কীভাবে দমন করা যায় সে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
কীভাবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়েও আলোচনা করবেন তারা।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। যেমন-নির্বিঘ্নে ভিসা আবেদন জমা, ই-টোকেনের বাধ্যবাধকতা না থাকা এবং জ্যেষ্ঠ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দিচ্ছে তারা।
দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে সংশোধিত ট্রাভেল এগ্রিমেন্ট ২০১৮ সই হওয়ার কথা রয়েছে। এই চুক্তির আওতায়ই ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে।
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন বলেছে, ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের নিয়মিত বৈঠকের ধারাবাহিকতায় রাজনাথ সিংয়ের এই সফর হচ্ছে।
রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবনের উদ্বোধন করবেন দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে ভারত ও বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা এবং সম্পর্ক আরও জোরদারে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।